স্বদেশ ডেস্ক:
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, রংপুর ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন এলাকায় বাস চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে এসব এলাকায় বাস চলাচল শুরু হয়। দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন চালু থাকবে।
রাজধানীতে সকাল ৬টা থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ফের শুরু করে গণপরিবহন চলাচল। নির্ধারিত হারের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়ায় যাত্রী পরিবহনগুলো রাস্তায় নেমেছে।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট ও শাহবাগে আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী পরিবহণ করছে এসব গণপরিবহন। সিটিতে বাস চলাচল করলেও দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল যথারীতি বন্ধ থাকছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিধিনিষেধ আরোপের দুদিন না পার হতেই গণপরিবহন চলাচল চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ক সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সংস্থাটির পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ার) শীতাংশু শেখর বিশ্বাস স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়েছে।
তার আগে গতকাল বিকেলে ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও জনসাধারণের যাতায়াতে দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণপরিবহন চলাচলের বিষয়টি শর্ত প্রতিপালন সাপেক্ষে পুনর্বিবেচনা করে অনুমোদন দিয়েছে। প্রতিবার যাত্রার (ট্রিপ) শুরুতে এবং শেষে জীবাণুনাশক দিয়ে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করা, পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও যাত্রীদের বাধ্যতামূলক মাস্ক পরা এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কোনোভাবেই সমন্বয়কৃত ভাড়ার (৬০ শতাংশ বৃদ্ধি) অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল যথারীতি বন্ধ থাকবে।